পৃথিবীর শক্তির মূল উৎস সূর্যের আয়ু ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, আমাদের সূর্যের বয়স এখন ৪৫৭ কোটি বছরের কাছাকাছি এবং এটি বর্তমানে আরামদায়ক মধ্যবয়স পার করছে এবং হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম জ্বালানি শেষ করছে।
সূর্যের অভ্যন্তরে অনবরত হাইড্রোজেন পরমাণু পরস্পর যুক্ত হয়ে তৈরি করছে হিলিয়াম পরমাণু। বিজ্ঞানের ভাষায় এ প্রক্রিয়াটিকে বলে ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’। আর এই প্রক্রিয়াতেই তৈরি হয় বিপুল পরিমাণ শক্তি। ২০১৩ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) গাইয়া নামক একটি মহাকাশযান মহাকাশে পাঠিয়েছিল।
এ মহাকাশযানটির কাজ মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। গত ১৩ জুন গাইয়ার দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেই বিজ্ঞানীরা সূর্যের আয়ু অনুমান করছেন। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, আরও ৮০০ কোটি বছরে গিয়ে সর্বোচ্চ উষ্ণতায় পৌঁছাবে সূর্য। তারপর থেকেই সূর্য ক্রমশ শীতল হতে থাকবে। উষ্ণতা যত কমবে ততই বাড়বে সূর্যের আয়তন। ক্রমেই এটি লাল দৈত্যাকার নক্ষত্রে পরিণত হবে। প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি বছর বয়সে পুরোপুরি মৃত্যু হবে সূর্যের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।